আপনার রেজাল্ট ভালো, কাজের দক্ষতাও যথেষ্ট। তবু শুধু ইন্টারভিউর সময় ভয় পেয়ে বসে যান—এটি কিন্তু আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ইন্টারভিউয়ে ভয় না পেয়ে নিজের ওপর আস্থা রাখা জরুরি।
এক-দুটি প্রশ্নের উত্তর না জানলেও তাতে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। বরং পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বিনয়ের সঙ্গে গুছিয়ে কথা বলাটাই একজন দক্ষ প্রার্থীর পরিচয়। নিচে দেওয়া হলো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যা অনুসরণ করলে ইন্টারভিউয়ের সময় আপনি আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন এবং ভালো করতে পারবেন:
১. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন
যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, তাদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে রাখুন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে নিন, তাদের মিশন, ভিশন, সাম্প্রতিক কাজ—এসব বিষয় জেনে গেলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হবে।
২. আপডেটেড এবং পেশাদার সিভি তৈরি করুন
আপনার জীবনবৃত্তান্ত যেন হালনাগাদ থাকে। শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, লক্ষ্য—সবকিছু পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন। পেশাদার ডিজাইন হলে সেটা ইন্টারভিউ বোর্ডে ভালো প্রভাব ফেলবে।
৩. সময়ের প্রতি সচেতন থাকুন
ইন্টারভিউয়ের দিন তাড়াহুড়ো করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। সময়মতো পৌঁছানো আপনার সময়জ্ঞান ও পেশাদার মনোভাবের প্রমাণ দেয়।
৪. উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করুন
ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফরমাল পোশাক পরিধান করুন। পুরুষদের জন্য শার্ট-প্যান্ট, নারীদের জন্য শাড়ি বা থ্রি-পিস উপযুক্ত। হালকা রঙ বেছে নিন, যা আপনাকে পরিপাটি ও আত্মবিশ্বাসী দেখাবে।
৫. সাবলীলভাবে কথা বলুন
ইন্টারভিউর সময় কথা বলার ধরনে যেন আত্মবিশ্বাস থাকে। জোরে বা দ্রুত বলার দরকার নেই। কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানলে ঘাবড়ে না গিয়ে ভদ্রভাবে “জানি না” বলুন।
৬. নিজের বিশেষত্ব তুলে ধরুন
চাকরিদাতারা জানতে চান, কেন আপনাকে বেছে নেবেন। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধানের মানসিকতা ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।
৭. বেতন ও অন্যান্য বিষয়
বেতন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বাস্তবসম্মত ও যুক্তিযুক্তভাবে নিজের প্রত্যাশা বলুন। পাশাপাশি, কাজের সময়সূচি, ছুটির দিন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকলে তা গ্রহণ করুন।
ইন্টারভিউ মানেই ভয়ের জায়গা নয়—এটা নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ। প্রস্তুত থাকলে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে উত্তর দিতে পারলে, আপনি নিশ্চয়ই চাকরিটি পেয়ে যাবেন।