আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জেলি পুশ করা ১৫৫ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। একই অভিযানে জব্দ হওয়া ভালো মানের ৩০০ কেজি চিংড়ি উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স সংস্থা (ডিজি এফ আই)-এর আশাশুনি উপজেলার প্রতিনিধির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. রাবীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন।
শ্রীউলা ইউনিয়নের বুড়াখারটি গ্রামের দুটি ঘরে অভিযান চালিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়িতে জেলি, সিরিঞ্জ, মেডিসিনসহ নানা উপকরণ পুশ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেখান থেকে মোট ৪৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। ডিজি এফ আই জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলি পুশে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ী শাহজাহান হোসেন ও আলমগীর হোসেন পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, মাছ বা চিংড়িতে জেলি পুশ একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে ভোক্তার স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন বাড়ে, তেমনি বাজারে দেশীয় চিংড়ির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।