দেশজুড়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবারও শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে শুরু করেছে চেনা ছন্দ। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)-এর ১৪ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল থেকে ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে হলে, মেসে ও ক্যাম্পাসে ফিরছেন। এ যেন আবারও জ্ঞানের টানে প্রাণ ফিরে পাওয়ার দৃশ্য।
শুধু বেরোবি নয়, দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি শেষে একইভাবে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে। এই প্রত্যাবর্তন কেবলই নিয়মরক্ষার বিষয় নয়; বরং এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও পাঠে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্ক—সবই নতুন করে শুরু হয়।
তবে এর পাশাপাশি আমাদের শিক্ষানীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। বছরের মাঝামাঝি এসে শিক্ষাবর্ষের সুষ্ঠু অগ্রগতি নিশ্চিত করা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখা—এই সবই এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, আবাসন ও ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিয়েও প্রশাসনকে হতে হবে সজাগ।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শ্রেণিকক্ষ নয়, এটি একটি চিন্তা ও আলোচনার ক্ষেত্র। তাই এসব প্রতিষ্ঠান ছুটি শেষে খোলার অর্থ শুধু পাঠ শুরু নয়—বরং একটি সমাজে চিন্তা, তর্ক ও সৃজনশীলতার পুনর্জাগরণ।
আশা করি, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এই পুনরারম্ভকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ছাত্রকল্যাণে অধিক মনোযোগী হবে। কারণ একটি জীবন্ত, সজীব ও উদার শিক্ষাঙ্গনই পারে একটি জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে।