বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী মোড় এসেছে। নির্বাচন কমিশন সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। এর ফলে দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে অভিযোগ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সরকার মনে করছে, এসব সংগঠন রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলমান রয়েছে। বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম, প্রচার-প্রচারণা এবং প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও রাজনৈতিক সহনশীলতার ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ অবশ্যই নজিরবিহীন এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব জাতিকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে।
আরো পড়ুন: ধৈর্যের আহ্বান: রাজনীতিতে সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা: ডা. শফিকুর রহমান