দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াই শেষে অবশেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে এই স্বীকৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ১ জুন (২০২৫) মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করে এক বিবৃতি দেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আমরা আমাদের দলীয় অধিকার পুনরুদ্ধার করেছি—আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও সংগ্রামের পথ পেরিয়ে আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা কেবল একটি রায় নয়, একটি জুলুম ও অনিয়ায়ের অবসান। আপিল বিভাগের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এবং ২০০৮ সালের ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা’-এর আওতায় নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরণ করে নিবন্ধিত হয়েছিল। দেশের জাতীয় নির্বাচনে দলটি নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছিল এবং জনগণের সমর্থনেও ছিল দৃঢ় অবস্থানে।
ডা. শফিক বলেন, “২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর আমরা যথাযথভাবে নিবন্ধিত হয়েছি। তারপরও একটি বিশেষ মহলের উসকানিতে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে ২০১৩ সালে আমাদের নিবন্ধন বাতিল করে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। আজ সেই আপিলেই জয় এসেছে।”
তিনি সবশেষে বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই রায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন একটি মাত্রা যোগ করবে। যারা এ দীর্ঘ পথে আমাদের পাশে ছিলেন—আইনজীবী, শুভানুধ্যায়ী ও শুভাকাঙ্ক্ষী—আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”