সমাজসেবা অধিদপ্তর দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের হতদরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এই বিভাগের ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় দুই কোটি মানুষের জন্য ৫৪ ধরনের সেবামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি নির্দেশ করছে যে, এই গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে কার্যকরী সেবা প্রদান করতে পারছে না।
দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি ও নিয়োগের সমস্যায় জর্জরিত এই বিভাগে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত মর্যাদা ও আর্থিক প্রণোদনার অভাব তাদের কর্মস্পৃহা হ্রাস করেছে, ফলে প্রান্তিক জনগণের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংস্কারের অভাব বিভাগের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বর্তমানে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীদের মধ্যকার হতাশা ও অসন্তোষের ফলে সেবা প্রদানে অদক্ষতা এবং বিলম্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা সরাসরি দেশের সবচেয়ে দুর্বল জনগণের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করছে। তাই সরকারের উচিত, এই গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের সংস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ক্যাডারভিত্তিক ব্যবস্থা গঠন, নিয়মিত নিয়োগ, পদোন্নতি, এবং বেতন স্কেলের উন্নতি এই বিভাগের কর্মীদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। সরকারের উদ্যোগে এই সংস্কার কার্যকরী হলে, সমাজসেবা অধিদপ্তর আবারও দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য একটি শক্তিশালী সহায়ক শক্তি হয়ে উঠবে।
বর্তমান সরকারকে অবশ্যই জাতীয় কল্যাণের স্বার্থে এই মানবিক অধিদপ্তরের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে পারে।